কুড়িগ্রামে শিক্ষক মারধরের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

শিক্ষককে মারধর করার সময়ের দৃশ্য। গত রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে
ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত নয়টার সময় কুড়িগ্রাম শহরের মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নুর মোহাম্মদ সাবেরী কুড়িগ্রাম পৌরসভার মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত সাবের আলীর ছেলে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মাসুদ রানা পলাতক রয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় সোমবার বিএনপি নেতা মাসুদ রানা ও তাঁর সহযোগী রুমন মিয়া, আমিনুর রহমান ও বিদ্যুতের নামে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও কয়েককে আসামি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় বুধবার রাত নয়টার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে নুর মোহাম্মদ সাবেরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত রোববার ছাত্র ভর্তি বাতিলের কারণ জানতে জেলা বিএনপির সহছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে যান। তিনি সেখানে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবদুল হাই সিদ্দিকীর ওপর চড়াও হন এবং মারধর করেন মাসুদ রানা। পরে ভুক্তভোগী আবদুল হাই সিদ্দিকী বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মাসুদ রানাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

এদিকে শিক্ষককে মারধর ও মামলা দায়ের হলেও মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ সম্পর্কে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছি। সেখান থেকে কোনো উত্তর না পাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

আরও পড়ুন