লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে মিলল বিশালাকৃতির মৃত অজগর
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন থেকে বিশালাকৃতির একটি মৃত অজগর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বন বিভাগের লোকজন গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন।
মৃত অজগরটি উদ্ধারের সময় পেট ভরা ছিল। বন বিভাগ বলছে, গবাদিপশু বা অন্য কোনো বন্য প্রাণী খেয়ে ফেলতে পারে অজগরটি। তবে কীভাবে সাপটি মারা গেছে, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত নন।
বন বিভাগের সঙ্গ কথা বলে জানা গেছে, লাঠিটিলা দেশের অন্যতম ক্রান্তীয় চিরসবুজ ও জীববৈচিত্র্যপূর্ণ বনভূমি। বনটি হাতি, উল্লুক, উল্টোলেজি বানর, মেছো বিড়াল, বনবিড়াল, মায়া হরিণ, মুখপোড়া হনুমানসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী ও পাখির আবাসস্থল। বনের চেলার হান্ডর এলাকায় মৃত অবস্থায় একটি অজগর পড়ে আছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল চারটার দিকে বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের লাঠিটিলা বিটের লোকজন সেখানে যান।
লাঠিটিলার বিট কর্মকর্তা মো. রুমিজ্জামান সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, অজগরটি প্রায় আট ফুট লম্বা। মৃত অবস্থায় উদ্ধারের সময় সাপটির পেট ভরা ছিল। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সাপটি হরিণ বা বনবিড়াল খেয়ে ফেলতে পারে। অজগরটি কীভাবে মারা গেল, তাঁরা জানতে পারেননি।
রুমিজ্জামান আরও বলেন, অজগরটিকে এখনো মাটিচাপা দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জুড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
জানতে চাইলে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, জিডি গ্রহণে পুলিশের আপত্তি নেই। তাঁরা বন্য প্রাণী বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে জিডি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি তাঁরা জেনেছেন। অজগরটিকে কেউ মারতে পারে, আবার বেশি খেয়ে হজমের সমস্যায় মারা যেতে পারে। ময়নাতদন্ত না করে নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না। বন বিভাগের স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।