মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত দেড় শতাধিক আকাশমণিগাছ। সবগুলোই মরে শুকিয়ে গেছে। যেকোনো সময় ডালপালা ভেঙে বা গাছগুলো উপড়ে পড়তে পারে, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের কেরানীহাট থেকে মৌলবির দোকান পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে এমন সারি সারি মরা গাছের দেখা মিলবে। এ নিয়ে আশঙ্কায় আছেন স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও যানবাহনের চালকেরা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন, দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কের পাশের মাটির ক্ষয়রোধে ১৫-২০ বছর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুই পাশে আকাশমণি, ঝাউসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। কয়েক বছর ধরে মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের কিছু কিছু স্থানে আকাশমণিগাছগুলো মরতে শুরু করেছে।

স্থানীয় কেঁওচিয়া এলাকার বাসিন্দা ও পিকআপ ভ্যানচালক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাতাস বা বৃষ্টি হলে মরা গাছগুলোর ডালপালা ভেঙে সড়কের ওপর পড়ে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় মহাসড়কের নয়াখাল এলাকায় একটি মরা আকাশমণিগাছের ডাল ভেঙে যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যানের একজন সহকারী ও দুজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। সে সময় পিকআপ ভ্যানটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের কেরানীহাট থেকে মৌলবির দোকান পর্যন্ত দুই পাশের স্থানে স্থানে অন্তত দেড় শতাধিক আকাশমণিগাছ মরে শুকিয়ে গেছে। তা ছাড়া মরা গাছগুলোর অধিকাংশই সড়কের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিছু কিছু গাছ আধমরা হয়ে আছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ সওজ বিভাগ দোহাজারী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাফিজ বিন মঞ্জুর প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়কের ওই অংশে মরা গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে একজন ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, গাছগুলো কেটে নেওয়া হবে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আর থাকবে না।