ময়মনসিংহে তিন নেতার বিরুদ্ধে তাঁতী লীগের কমিটি গঠনের অভিযোগ
ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল ইসলাম জলিলসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বৈধ কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন জেলা তাঁতী লীগের সদস্য ও ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি জাকির আলম।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ক্ষোভ থেকে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন জাকির আলম। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভালুকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহমেদ পরাজিত হন।
লিখিত বক্তব্যে জাকির আলম বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার কারণে ভালুকা উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি এস এম কামরুজ্জামান তাঁর (জাকিরের) ওপর ক্ষুব্ধ হন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পরাজয়ের পর ডাকাতিয়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন ভালুকা উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক এস এইচ ফরহাদ। তিনি (জাকির) কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুমকির বিষয়টি জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলামকে জানান। তখন তাজুল ইসলাম ভালুকা উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কমিটি ভাঙতে নিষেধ করেন। পরে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল ইসলামের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে ডাকাতিয়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে গত ২৩ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, টাকার বিনিময়ে কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে জাকির আলমের কোনো অভিযোগ থাকলে তাঁদের লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে জাকির আলমের দাবি, ডাকাতিয়া ইউনিয়ন তাঁতী লীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে টাকার মাধ্যমে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টির প্রমাণ তিনি পেয়েছেন।