কর্মসূচিতে যেসব কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে সেগুলো হলো সরকারি বরিশাল কলেজ, অমৃত লাল দে কলেজ, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, কাশীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি আলেকান্দা কলেজ।
এতে বক্তব্য দেয় শিক্ষার্থী এইচ এম রাব্বি, মঈনুল ইসলাম, ইমন হোসেন, মো. নোমান, তানভীর আহমেদ, মো. সোহান, রাইয়ান আহমেদ, আহত রাকিবুলের বোন সুমাইয়া আক্তার, টুম্পা আক্তার, ভগ্নিপতি সায়মন হোসেন ও আবদুল জব্বার এবং স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুজ্জামান খান।
রাকিবুল ইসলামের বোন সুমাইয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ মার্চ বিকেলে তাঁর ভাই বাসা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে কাশীপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথে নগরের ইছাকাঠি প্রধান সড়কের ওপর আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল রিয়ন সিকদারের নেতৃত্বে মো. সিহাব, মো. রাকিব, মো. লিখন সিকদার, রাব্বি কাজী, মো. সাদ, ইজাজুল ইসলামসহ আরও চার–পাঁচজন। তারা রাকিবুলের পথরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন রাকিবুলকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাঁদেরও জীবননাশের হুমকি দেয় কিশোর সন্ত্রাসীরা।
রাকিবুল ইসলামের সহপাঠীরা জানিয়েছে, স্থানীয়রা রাকিবুলকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠান। এ ঘটনায় রাকিবুলের মা রুবিনা বেগম বাদী হয়ে নগরের বিমানবন্দর থানায় সাতজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই–তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দীন রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ওই মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রধান আসামিসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
বক্তারা বলেন, রাকিবুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। কাশীপুর এলাকার একদল কিশোর সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এর প্রতিবাদ করায় রাকিবুলের ওপর হামলা হয়েছে। প্রধান হামলাকারী ও অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং রাকিবুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব কিশোর সন্ত্রাসীকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হলে তাঁরা আবারও রাস্তায় নামবেন।