চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় প্রাণ গেল এনজিও কর্মকর্তার

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাটিবোঝাই একটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম নাজমা খাতুন (৩৫)। বুধবার দুপুরে উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নাজমা খাতুনের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া শাখার ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ব্র্যাকের একই শাখার ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক কর্মকর্তা অনাদিচরণ (৩২)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, নাজমা খাতুন ও অনাদিচরণ আজ দুপুরে মোটরসাইকেলে করে উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামে যাচ্ছিলেন। বেলা একটার দিকে তাঁরা সেনেরহুদা গ্রামের জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে ইটভাটার মাটিবাহী একটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় দুজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই নাজমা খাতুনের মৃত্যু হয়। অনাদিচরণকে আহত অবস্থায় প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পরপরই চালক ট্রাক্টর চালিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে জীবননগর থানায় নেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত ১৯ এপ্রিল ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারমাইল এলাকায় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহত হন আশিক মাহমুদ (৩২) নামের এক যুবক।

আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। আশিক চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং একটি কোম্পানির স্বত্বাধিকারী।

আশিকের বোনজামাই দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শবে কদরের রাতে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন আশিক। বন্ধুদের সঙ্গে রাতে জেলা শহর ও শহরের বাইরে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়েন। ভোরে বাড়ি ফেরার সময় চারমাইল এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আশিক মাহমুদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।