বগুড়া থেকে শুরু বিএনপির রাজশাহী বিভাগের ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’

সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের রোডমার্চ আজ বগুড়া থেকে রাজশাহীর অভিমুখে যাবে। এ উপলক্ষে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া হাট এলাকায় সমাবেশ হবে। ছবিটি সমাবেশের আগে সকাল নয়টার দিকে তোলাছবি: সোয়েল রানা

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রাজশাহী বিভাগে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া বাজারে সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত এই রোডমার্চ কর্মসূচি হবে।

রোডমার্চ উপলক্ষে বগুড়ায় আয়োজিত সমাবেশে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বক্তব্য দিয়েছেন জেলা বিএনপি, কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা। সাড়ে ১১টার দিকে বক্তব্য শুরু করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর বক্তব্যের পরই রাজশাহীর উদ্দেশে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ছাড়বে।

আরও পড়ুন

রোডমার্চ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী নগরের মালোপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার রোডমার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে গাবতলী, সান্তাহার, নওগাঁর নওহাটা মোড়, মান্দা ফেরিঘাট ও কেশরহাটে পথসভা করে রাজশাহী নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশ করা হবে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই শেষ হবে রোডমার্চ। সমাবেশে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেবেন।

নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, নওগাঁয় সমাবেশ উপলক্ষে নওগাঁ শহরের বাইপাস সড়কের জেলখানার মোড় এলাকা ও মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। দলের মহাসচিবের আগমন উপলক্ষে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। এই রোডমার্চে নওগাঁ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও হাজার হাজার বিএনপির সমর্থক অংশ নেবেন।

আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তারুণ্যের রোডমার্চের লক্ষ্য তরুণ-যুবসমাজকে জাগিয়ে তোলা এবং সরকার হটানোর চূড়ান্ত আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই আন্দোলন ক্রমেই ঢাকামুখী হবে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাবৃন্দের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য শোনার জন্য স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।