ডাকাতির ঘটনা প্রকাশ না করতে শপথ পড়ানোর চেষ্টা

ডাকাতিপ্রতীকী ছবি

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় গতকাল রোববার রাতে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তিকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য পবিত্র কোরআন শরিফ ছুঁইয়ে শপথ পড়ানোর চেষ্টা করে। তবে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি শপথ পড়েননি। পরে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মঞ্জুরুল হক। তিনি জনতা ব্যাংকের আতাইকুলা শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর বাড়ি সাঁথিয়া পৌরসভার চোমরপুর গ্রামে।

মঞ্জুরুল হক বলেন, রোববার রাত আড়াইটার দিকে রান্নাঘরের গ্রিল কেটে সাত ডাকাত মুখোশ পরে তাঁদের ঘরে ঢোকে। এ সময় বাড়িতে তিনি, তাঁর স্ত্রী-মেয়েসহ তিনজন ছিলেন। ডাকাতেরা তাঁদের তিনজনকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে জিম্মি করে। পরে তাঁরা আলমারির চাবি নিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ২৬ হাজার ৫০০ টাকার প্রাইজবন্ড ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। ডাকাতি শেষে যাওয়ার সময় এ ঘটনা কারও কাছে প্রকাশ না করার জন্য ডাকাত দল তাঁকে শাসায়। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য পবিত্র কোরআন শরিফ ছুঁয়ে শপথ পড়ানোরও চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি শপথ করেননি।

মঞ্জুরুল বলেন, ‘ডাকাতেরা ব্যাংকের চাবি নিয়ে যাচ্ছিল। এমন মুহূর্তে তারা পবিত্র কোরআন আমার হাতে দিয়ে ডাকাতির কথা কাউকে না বলার জন্য শপথ করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমি শপথ না করে উল্টো তাদের ব্যাংকের চাবি ফেরত দিতে বলি। চাবি ফেরত না দিলে তাদের ভয়ংকর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে জানাই। তখন তারা চাবি ফেরত দিয়ে দ্রুত চলে যায়।’

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন সোমবার রাত আটটার দিকে জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পেরেছেন। তাঁদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।