বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করতে হবে

ফরিদপুর শেখ জামাল স্টেডিয়ামে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় উপস্থাপন ও ভাষণ উৎসবের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ভেজাল, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করতে হবে।

ফরিদপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষেরা রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। হাজার বছর পর টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতীর তীরে এক মা যাঁকে জন্ম দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন, যিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের পরাজয়–অপমান রক্তের প্রতিশোধ দিয়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে যুক্ত করেছিলেন বাংলা নামের এ দেশ। এ জন্য আজ আমরা স্বাধীন। আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালে বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে আমরা তাঁকে হারিয়েছি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ আমি এখানে বক্তৃতা করার জন্য নয়, বক্তৃতা শোনার জন্য এসেছি। বক্তৃতা শিশুরা করেছে। বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনতে শুনতে আমি বিমোহিত হয়েছি।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। জেলা প্রশাসকের স্বাগত বক্তব্য শেষে শুরু হয় বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন।

যারা বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করে তারা হলেন জাপানি ভাষায় দিলীপ মণ্ডল, স্প্যানিশ তানভীন ইসলাম, ফারসি নাজমুল ইসলাম, আরবিতে সাইফুল ইসলাম, ফ্রেঞ্চ কৌশিক মালো, ইংরেজি ফারহানা জানাম, চিনা মারুফ আহমেদ ও হিন্দিতে শ্রেয়া তুলশিয়ান।

স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির একটি ঐতিহাসিক দিন। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ ছড়িয়ে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার ভাষণ বিভিন্ন ভাষায় উপস্থাপন করার লক্ষ্যই হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের মানুষ এ ভাষণ শুনে উদ্বুদ্ধ হবে। আমরা চাই, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাক এবং এই দিন ‘আন্তর্জাতিক ভাষণ দিবস’ হিসেবে পরিগণিত হবে। এ ছাড়া ৭ মার্চের ভাষণ উৎসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।