মারধরের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত

কামরুল আরেফিন

একজন বৃদ্ধ অটোরিকশাচালককে মারধরের ঘটনা মুঠোফোনে ধারণ করায় ফেনীতে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে স্থানীয় এক সাংবাদিককে। মারধরে আহত সাংবাদিক কামরুল আরেফিন ফেনী থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক আমার ফেনী পত্রিকার শহর প্রতিনিধি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফেনী সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আজ দুপুরে কামরুল আরেফিন সংবাদ সংশ্লিষ্ট কাজে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে যান। পথে সদর হাসপাতাল মোড়ে ১০-১২ জন যুবককে একজন বৃদ্ধ অটোরিকশাচালককে মারধর করতে দেখেন তিনি।

ঘটনাটি মুঠোফোনে ধারণ করে হাসপাতালের দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর কাজ শেষে হাসপাতাল গেটে পৌঁছালে সেখানে মো. আসিফ মাহিদি, আশিক, শাকিলসহ ১০-১২ জন যুবককে একটি মাইক্রোযোগে হাসপাতালের গেট অবস্থান করতে দেখেন।

তাঁরা কামরুলকে দেখামাত্রই ধরে মারধর করতে করতে পাশের মুক্তা দুলাল প্লাজায় সামনে নিয়ে যান। সেখানেও তাঁকে মারধর করে মুঠোফোন ফরমেট করে দেন ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলাকারী মো. আসিফ মাহাদি, আশিক ও শাকিল ফেনী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিরিঞ্চি এলাকার বাসিন্দা ও ফেনী পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

জানতে চাইলে আকবর হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যুবলীগের মিছিল–মিটিংয়ে আসে। তবে আমার অনুসারী নয়। সাংবাদিককে মারধরের বিষয়টি নিন্দনীয়। এ ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।’

খবর পেয়ে কামরুলের সহকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরেছেন। এ ঘটনায় কামরুল নিজে বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।