নেত্রকোনায় হামলা ও মারধরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

হামলা ও মারধরের মামলায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনিছুর রহমান পাঠান ওরফে বাবুলসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার নেত্রকোনা জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২–এর বিচারক রিমি সাহা এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান পাঠানকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড, তাঁর ছেলে হৃদয় পাঠানকে দেড় বছর, ভাতিজা সাইদুল পাঠানকে দেড় বছর ও জিল্লুর পাঠানকে ১৫ মাস, চাচাতো ভাই মাসুম পাঠানকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানসহ চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি মাসুম পাঠান পলাতক আছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন ৫১৬ ও ৫১৭ দাগের ৪৬ শতক জায়গা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান পাঠানের সঙ্গে রংছাতি গ্রামের বাসিন্দা খুশিকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলীর বিরোধ চলছিল। ইউনুস আলী ওই জায়গায় দুটি ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর আনিসুর রহমান পাঠান লোকজন নিয়ে ইউনুস আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর, লুটপাটসহ মারধর করেন। এতে ইউনুস আলী, তাঁর চাচাতো ভাই মামুনুর রশিদ ও আতাউর রহমান আহত হন।

পরে ওই দিনই ইউনুস আলীর স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে আনিছুর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এক আসামি সম্প্রতি মারা গেছেনে। গতকাল মঙ্গলবার আদালত ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।

ইউনুস আলী বলেন, ‘ওই জায়গাটি দীর্ঘদিন আগে সাফ কবলা দলিল মূলে আমি একজনের কাছ থেকে কিনি। আমার ভোগদখলে থাকা জায়গা দখল করতে চেয়ারম্যান তাঁর লোকজন নিয়ে হামলা করেন, লুটপাট ও ভাঙচুর চালান এবং আমাদের পিটিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় করা মামলায় আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ে আমরা সুবিচার পেয়েছি।’

তবে আনিছুর রহমানের আইনজীবী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ রায় আমার মক্কেল সুবিচার পাননি। আমরা আপিল করব।’

নেত্রকোনা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জাফর ইকবাল বলেন, আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।