আক্কেলপুরে এক রাতে ৬ বৈদ্যুতিক মিটার চুরি, ফেরত পেতে চিরকুটে টাকা দাবি

জয়পুরহাট জেলার মানচিত্র

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় এক রাতে ছয়টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর মুঠোফোন নম্বর রেখে তাতে টাকা পাঠাতে বলেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। গত রোববার রাতে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের পৃথক ছয়টি স্থানে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পাঁচটি মিটার গভীর নলকূপের ও একটি চালকলের।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে রায়কালী ইউনিয়নের মুনজিয়া গ্রামের গোলাম রাব্বানী, নারিকেলী গ্রামের ইসাহাক আলী, আমবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী, ফুলতলী বাজার এলাকার জুয়েল ইসলাম ও রসুলপুর ঘোলকুড়ি গ্রামের আবদুস সামাদের গভীর নলকূপের ও মুনজিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের চালকলের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাঁদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি টাকা না দিয়ে মিটার লাগায়, তাহলে আবার মিটার চুরি হবে—মুঠোফোনে এমন হুমকি দেন চোর চক্রের সদস্যরা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে থানায় মিটার চুরির ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

রায়কালী ইউনিয়নের মুনজিয়া গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক গোলাম রব্বানী বলেন, লোহার খাঁচার ভেতর মিটার ছিল। গভীর রাতে খাঁচা ভেঙে মিটার চুরি করা হয়েছে। মিটারের স্থানে একটি চিরকুটে পেয়েছেন। চিরকুটে লেখা মুঠোফোন নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়। ওই নম্বরে কথা হয়েছিল। মিটার ফেরত পেতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেছে। যদি টাকা না দিয়ে মিটার লাগানো হয়, তাহলে আবারও মিটার চুরি হবে। বেশি চালাকির আশ্রয় নিলে সেচ স্কিম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে। চুরি রোধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।’