এনপিপি ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট দুই আওয়ামী লীগ নেতা

সন্তোষ আগরওয়াল ও জুলফিকার আলীছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী রাজিউল ইসলাম (আম) ও ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী রফিকুল ইসলামের (মিনার) প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক। এই দুই নেতা হলেন জুলফিকার আলী ও সন্তোষ আগরওয়াল।
প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম হাবিবুল হাসান।

এই আসনে ওই দুই দলের প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন (নৌকা), জাতীয় পার্টির রেজাউর রাজী (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তহমিনা আখতার মোল্লা (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী তহমিনা আখতার মোল্লা এ ঘটনাকে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ভোটের দিন কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের অপকৌশল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারা এনপিপি ও ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট হয়েছেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির রেজাউর রাজী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদে থেকে অন্য দলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হওয়া নৈতিকতাবিবর্জিত কাজ। এমন সিদ্ধান্তের পেছনে অবশ্যই ষড়যন্ত্র আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনপিপি–মনোনীত প্রার্থী রাজিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট করা হয়েছে জুলফিকার আলীকে।’ আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার কারণ কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি আমার দুলাভাই।’

আর ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সন্তোষ আগরওয়ালা আওয়ামী লীগ নেতা হলেও তিনি আমার বিশ্বস্ত। তাঁর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক।’ প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দলের কোনো নেতাকে নিয়োগ করলেন না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটর পরিস্থিতি তো বুঝতেই পারছেন। দলের লোকজন এ অবস্থায় মাঠে থাকতে চাচ্ছেন না। ওই জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছি।’

এনপিপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী বলেন, ‘এনপিপির প্রার্থী এসে বললেন, বিশ্বস্ত লোক পাচ্ছি না। আপনিই আমার বিশ্বস্ত। আমার ভোটটা আপনি একটু দেখবেন? আমি তাঁর প্রস্তাব ফেলতে পারিনি।’

জেলা আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ আগরওয়ালার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।