বৃষ্টিতে ভোটারশূন্য ভোটকেন্দ্র

ভোটার শূন্য কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় কেন্দ্র। আজ সকালে।ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে আজ বুধবার ভোর পাঁচটায়। সকাল আটটা থেকে শুরু হয় কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। মোট ৮২টি কেন্দ্রের সব কটিতে সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। প্রথম এক ঘণ্টায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২০ থেকে ৩০টি করে। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটাররা বাড়ি থেকে কেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করছেন না। তবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে খুশি অনেকে।  

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন শক্তিশালী দুজন প্রার্থী। একজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান (আনারস)। অপরজন একই পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার (মোটরসাইকেল)। পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সদর এই উপজেলার ৮২টি ভোটকেন্দ্রকে প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে গোলযোগ, কিংবা ইভিএম যন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়নি। উপজেলার মোট ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৯৯৬। এর মধ্যে পৌরসভার ভোটার ৬৭ হাজার ৫৭৭।

ভোটকেন্দ্র ফাঁকা

সকাল ৮টায় শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল মাঠে একজন ভোটারও নেই। ভোট গ্রহণ শুরু হলে একজন-দুজন করে ভোটার আসছেন, তাঁরা সরাসরি বুথে ঢুকে ইভিএমে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

সোয়া আটটায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বড়ছড়া এলাকার ভোটার কুলসুমা বেগম (৪০) ও কামরুন্নাহার (৫০)। দুজন বললেন, আঙুলের ছাপে (যন্ত্রে) ভোট দিতে তাঁদের সময় লেগেছে ১-২ মিনিট। একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁদের অনেক উপকার করেছেন, এ জন্য ঝড়বৃষ্টিতেও তাঁরা ভোট দিতে কেন্দ্রে ছুটে এসেছেন।

এক ঘণ্টায় এই কেন্দ্রের ৯টি বুথে ৮০টি ভোট পড়েছে জানিয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কম। কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৭৮৫। কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১৬ জন আনসার সদস্য বসে-দাঁড়িয়ে অলস সময় পার করছেন।

কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া উপকূলীয় আদর্শশিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে বুথগুলো ভোটার শূন্য হলেও ফটকের বাইরে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের ভিড় দেখা গেছে । আজ বেলা ১১টা।
ছবি: প্রথম আলো

শহরের মধ্যভাগে বাহারছড়া এলাকায় পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে গিয়ে মাঠে একজন ভোটারও দেখা গেল না। ৯টি বুথের ৭টিতে পোলিং এজেন্টরা গল্পগুজবে ব্যস্ত। তখন পর্যন্ত দেড় ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১৪৯টি। কেন্দ্রের ভোটারসংখ্যা ৩ হাজার ৭৫। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অসীম বরণ সেন বলেন, বৃষ্টির কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম। ভোট গ্রহণে ধীরগতি হলেও ইভিএম যন্ত্রে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বেলা সাড়ে ১১টায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর নুনিয়াছটা শাহ সুফি হজরত আলী হোসেন ফকির মাদ্রাসা কেন্দ্রেও ভোটারশূন্য পরিবেশ দেখা গেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের সাতটি ওয়ার্ডের অন্তত ১২টি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে গোলযোগ কিংবা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।