জামালপুরে অটোরিকশাচালককে মারধরের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এক অটোরিকশাচালককে মারধর করার অভিযোগে বিএনপির এক নেতাকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অব্যাহতি পাওয়া নেতার নাম গাজী রাশেদুজ্জামান। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। তিনি আগের কমিটির সদস্য ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন অটোরিকশাচালককে মারধর ও এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আরেকজনকে মারধর করার ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িকভাবে দলের সদস্যপদ স্থগিতসহ সব কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। পরবর্তী সময়ে তাঁর আচার–আচরণের সংশোধন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজী রাশেদুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মালঞ্চ বাজার থেকে একটি অটোরিকশায় মেলান্দহ রেলস্টেশনে যেতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু ওই অটোরিকশাচালক রেলস্টেশনে যেতে রাজি হননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে মারধর করেন রাশেদুজ্জামান। এ সময় পাশে থাকা এক ব্যক্তি মারধরের প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়।
জানতে চাইলে গাজী রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি জরুরি কাজে ট্রেন ধরতে রেলস্টেশনে যেতে চাচ্ছিলেন। সকাল সাতটার দিকে ওই বাজারে আর কোনো অটোরিকশা ছিল না। তিনি চালককে অনেক অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি যাবেন না। তখন তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও ওই চালককে নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এক নেতা হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়ান। এরপরও তাঁকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। দলের প্রয়োজনে যেকোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়েছেন। এতে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই।
এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কবিরের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।