আরসাপ্রধানের দেহরক্ষীসহ চার সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবির (ক্যাম্প-২০) থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এলজি, সাতটি ককটেল, বেশ কিছু গুলিসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁদের মধ্যে একজন আরসাপ্রধান আতাউল্লাহর দেহরক্ষী বলে জানা গেছে।
র্যাবের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে আরসার অর্থ শাখার প্রধান (ক্যাশিয়ার) এবং আরসাপ্রধানের দেহরক্ষীও রয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কলিম উল্লাহ (৩২), মো. আকিজ (২৭), মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯) ও মৌলভি সাবের (৩৫)। তাঁদের মধ্যে কলিম উল্লাহ আরসার ক্যাশিয়ার এবং আকিজ আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির দেহরক্ষী বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫, কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, মধ্যরাতে আশ্রয়শিবিরে নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিলেন চারজন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সবাই রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে তাঁরা বাংলাদেশে আসেন। তাঁদের নেতৃত্বে আশ্রয়শিবিরে আরসার ‘গান গ্রুপ’ পরিচালনা করা হয়। গান গ্রুপের সদস্যেরা দিনে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাইরে উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ে অবস্থান করেন। রাতে আশ্রয়শিবিরে ঢুকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করে পুনরায় পাহাড়ে ফিরে যান।
অভিযানের বিষয়ে র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নির্দেশে আরসার সদস্যেরা মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে টেকনাফের খারাংখালী ও উনচিপ্রাং সীমান্তে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ দলের ক্যাশিয়ার কলিম উল্লাহর কাছে পৌঁছানো হয়। তিনি দলের সদস্যদের এসব অস্ত্র বরাদ্দ দেন। এ ছাড়া দলের জন্য কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী, মহেশখালী ও টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে নগদ টাকায় দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনতেন কলিম উল্লাহ। কলিম উল্লাহসহ গ্রেপ্তার চারজনকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ১০ মাসে র্যাব উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে আরসার সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডারসহ ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ১০টি বিদেশি ও ৫২টি দেশীয় অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, গান পাউডার, পারদ ও হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।