প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলজংশন থেকে লাকসাম রেলজংশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইনের কাজ চলছে। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে প্রকল্পের বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন হলেও বিএসএফের বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন, স্টেশনের ডাবল লাইন ও সালদা রেলসেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়েছিল।

আজ রোববার সকালে নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সরাইল রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। এ সময় বিজিবির সুলতানপুর সেক্টর কমান্ডারসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কসবা রেলস্টেশন এলাকায় নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময় শহীদুল ইসলাম বলেন, ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পটি জাতীয় পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে প্রকল্পটির বন্ধ হয়ে থাকা ওই অংশের নির্মাণকাজ পুনরায় চালুর বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়েছিল। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে প্রকল্পটি চালুর বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের পয়লা মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান সরেজমিনে আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের কসবা রেলস্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন। ওই সময় তিনি প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেছিলেন। ফলে দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণকাজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, পুরো প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে জাতীয় অর্থনীতিতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ২৩ জোড়া ট্রেন চালু আছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এই পথে ৭২ জোড়া ট্রেন চলাচল করতে পারবে।