থানায় গিয়ে স্বামী বললেন, স্ত্রীকে ছুরি মেরে এসেছি

ঠাকুরগাঁও জেলার মানচিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ বলেছে, তিনি স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম রাবেয়া খাতুন (৩২) আর আত্মসমর্পণকারী তাঁর স্বামী হলেন নাজমুল ইসলাম (৩৭)।

লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম জানান, রানীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর হাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম কয়েক মাস ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি জমির ধান বিক্রি করেন। ধান বিক্রির টাকায় পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য বাজারে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নাজমুল। একপর্যায়ে তিনি তাঁর স্ত্রী রাবেয়াকে ডাক দেন। কিন্তু রাবেয়া সাড়া দিতে দেরি করায় নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। হাতের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে রাবেয়ার পেটে আঘাত করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান নাজমুল। পরে অচেতন হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন রাবেয়াকে রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সে সময় দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সকাল ৯টার দিকে রানীশংকৈল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন নাজমুল। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে আমি ছুরি মেরে এসেছি।’ তখন পুলিশ তাঁকে আটক করে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে রাবেয়ার লাশ উদ্ধার করে।

লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, নাজমুলের আগের স্ত্রী সাপে কাটায় মারা যান। সে ঘরে একটি ছেলে ও মেয়ে আছে। পরে তিনি রাবেয়াকে বিয়ে করেন।

রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুলফামুল ইসলাম বলেন, কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।