দোহারে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ মামা-ভাগনের সন্ধান মেলেনি

নৌ দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

ঢাকার দোহারে পদ্মা নদীতে গরুবোঝাই ট্রলারডুবিতে গরুর ব্যাপারী মামা ও তাঁর ভাগনে নিখোঁজের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পরও তাঁদের সন্ধান মেলেনি। গতকাল বুধবার ভোরে দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর এলাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়।

নিখোঁজ দুজন হলেন মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের মোতালেব মাদবরের ছেলে মনির হোসেন মাদবর (৩৫) ও একই গ্রামের জসিম শেখের ছেলে ফয়সাল আহমেদ ওরফে সিয়াম (১২)।

নিখোঁজ মনির হোসেনের ভাতিজা কালাম হোসেন বলেন, বুধবার ভোরে তাঁর চাচা মনিরসহ মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ফরিদপুরের টেপাখোলা বাজার থেকে ৬৩টি গরু কিনে ট্রলারযোগে দোহারের মেঘুলা ঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। ট্রলারটি দোহারের সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর এলাকায় পৌঁছালে ট্রলারের তলা ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকতে থাকে। ট্রলারচালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রলারটি নদীর তীরে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে গরুসহ ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। এ সময় গ্রামবাসী ২৮টি গরু জীবিত উদ্ধার করেন। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাকি ৩৫টি গরু মৃত উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় অন্যান্য গরুর ব্যাপারী তীরে উঠতে পারলেও মনির ও তাঁর ভাগনে ফয়সালের এখনো খোঁজ মেলেনি। কালাম হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত চাচা ও সিয়ামের খোঁজ মেলেনি। আমাদের পুরো পরিবারে শোক নেমে এসেছে। কখন তাঁদের সন্ধান পাব, সেই আশায় নদীর দিকে তাকিয়ে আছি।’ ফয়সালের খালাতো ভাই সোহেল মিয়া বলেন, ‘গতকাল থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের সন্ধান পাচ্ছি না।’

কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘গরুবোঝাই ট্রলারডুবিতে দুই ব্যক্তি নিখোঁজের ঘটনায় তাঁদের ‍উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে নদীতে প্রবল স্রোতে উদ্ধার কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’