মিরসরাইয়ে আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় আনন্দ ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ১১ জন
ফাইল ছবি

মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় আহত মাইক্রোবাস আরোহী একজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাসফির হাসান নামের ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। বাকিদের মধ্যে একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর নাম জুনায়েদ কায়সার ইমন। সে হাটহাজারীর আমান বাজারের খন্দকিয়া গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।

বাকি আহত ছয়জনই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে তাসফিরকে গতকাল শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার পর তার জ্ঞান ফেরেনি। তার মাথা ও ঘাড়ে আঘাত রয়েছে।

আরও পড়ুন

নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অপর পাঁচজনের মধ্যে তানভির হাসান হৃদয় এখন অনেকটা সুস্থ। তবে বাকি চারজনের জ্ঞান ভালোভাবে ফেরেনি এখনো। তাঁরা হলেন মো. সৈকত, আয়াত হোসেন, মাহিম ও মাইক্রোবাসের সহকারী তৌকির ইমন।
জানতে চাইলে নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আইসিইউতে থাকা তাসফিরের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। বাকি চারজনের জ্ঞান এখনো ফেরেনি। তবে তাঁদের অবস্থা উন্নতির দিকে। অপরজন (হৃদয়) ভালো আছে। তাঁকে মুখে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বড়তাকিয়া স্টেশনের কাছে রেলগেটে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসের ১১ জন আরোহী নিহত হন। এ ছাড়া সাতজন আহত হন। হতাহত ১৬ জনই হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকার আরএনজে কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক। নিহতদের মধ্যে একজন মাইক্রোবাসের চালক।

আরও পড়ুন