পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় কারাগারে মিরসরাই বিএনপির ১৩ নেতা

আদালত
প্রতীকী ছবি

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৩ নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তাঁরা। এ সময় ওই আদালতের বিচারক বেগম জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা করে কোতোয়ালি থানা–পুলিশ। এসব মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ ও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

কারাগারে পাঠানো বিএনপি নেতারা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, বর্তমান আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মিরসরাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সদস্য মাঈন উদ্দিন মাহমুদ, গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দীন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি নুরুল আলম ও যুগ্ম সম্পাদক শওকত আকবর, মিরসরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর শরীফ, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী সালেহ আহম্মদ, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন ও মিরসরাই পৌর যুবদলের সদস্যসচিব বোরহান উদ্দীন।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলতি বছর জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলের বিভাগীয় সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের সময় পুলিশ বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর চড়াও হয় ও আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর পুলিশের গাড়িতে হামলার মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।’

নুরুল আমিন আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেতা–কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির শক্তি নষ্ট করা যাবে না।’