‘হুমায়ূন আহমেদ মাটি, বাতাস, রোদ-বৃষ্টি ও প্রকৃতির ঘ্রাণ উপলব্ধি করতেন’
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম প্রয়াণদিবস পালন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামে লেখকের প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, লেখকের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোকযাত্রা, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিন সরকার, মাহবুব আলম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার, অনিক হাসান, অষ্টম শ্রেণির নুসরাত জাহান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় হুমায়ূন আহমেদের স্বজন বখতিয়ার আহমেদ বলেন, হুমায়ূন আহমেদ অবহেলিত এই এলাকার মানুষকে আলোর পথ দেখাতে নিজ হাতে বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এই শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়টিকে নিয়ে তাঁর অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই এসএসসিতে অংশ নেওয়া প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই ভালো ফল অর্জন করছে।
শিক্ষক মাহবুব আলম বলেন, বই যে একটি পড়ার বিষয় এটি হুমায়ূন আহমেদ মানুষকে উপলব্ধি করাতে পেরেছিলেন। তিনি একটি পাঠক সমাজ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একজন মানুষ হিসেবে যে ব্যাপকতা তা তিনি জীবনভর ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ একজন যথার্থ শিল্পী ছিলেন। তিনি মাটি, বাতাস, রোদ-বৃষ্টি ও প্রকৃতির ঘ্রাণ উপলব্ধি করতেন। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি শিল্প রচনা করেছেন। তাই তাঁর শিল্প আমাদের কাছে এত গ্রহণযোগ্য।’