পুকুরে ‘ডুবছে’ নওগাঁর উর্বর ভূমি, মাঠে মাঠে ‘দুই বিঘা জমি’র গল্প

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষিজমিতে কাটা হচ্ছে পুকুর। সম্প্রতি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার দ্বীপগঞ্জ গ্রামেছবি: প্রথম আলো

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমি কবিতার উপেনের মতোই নওগাঁর কৃষক ইয়াছিন আলীর আবাদযোগ্য জমি ছিল মাত্র দুই বিঘা। সেকালের রাজা উপেনকে বলেছিলেন, ‘বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখান/ পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে, সমান হইবে টানা...।’ শেষ পর্যন্ত উপেন রাজাকে তাঁর দুই বিঘা জমি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

ইয়াছিন আলীর জমিও এখন অন্যদের জিম্মায়। তাঁকে জমি লিখে দিতে না হলেও ‘বাধ্য হয়ে’ ইজারা দিয়েছেন। সেকালের রাজা উপেনের জমিতে বাগান করেছিলেন। আর একালের প্রভাবশালীরা ইয়াছিনের জমিতে পুকুর খুঁড়ে মাছ চাষ করছেন। যেখানে তিনি আগে বোরো ও আমন ধান আবাদ করতেন। মাঝের সময়টায় করতেন পাট ও শর্ষের মতো অর্থকরী ফসল।

ইয়াছিন আলীর বাড়ি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ধনপাড়া গ্রামে। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আবাদি জমি হওয়ায় শুরুতে আমি কিছুতেই পুকুরের জন্য জমি দিতে রাজি হইনি। কিন্তু আমার জমির চারপাশে পুকুর হওয়ায় আমি বেকায়দায় পড়ে যাই।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আট বছর আগে ইয়াছিনের জমির পাশে অন্য কৃষকদের জমি ইজারা নিয়ে একটি পুকুর খনন করেন আত্রাই উপজেলার মাছচাষি খয়বর রহমান। ক্রমে তিনি আরও দুটি পুকুর খোঁড়েন। পুকুরগুলোর উঁচু পাড়ের কারণে বছরের অধিকাংশ সময় ইয়াছিনের তিন ফসলি জমিতে পানি আটকে থাকত, ফসল খারাপ হতো। শেষ পর্যন্ত তিনি সেই জমি বিঘাপ্রতি (৩৩ শতক) বছরে ২০ হাজার টাকায় খয়বরকে ইজারা দিয়ে দেন।

এখন ইয়াছিন আলীকে চাল, সবজি, গোখাদ্য খড়—সবই কিনতে হয়। ইজারার টাকায় সংসার চলে না, দিনমজুরি করেন। তিনি বলেন, ‘খালি মাছ খ্যায়ে কি আমাগের প্যাট ভরবে?’

কৃষি দপ্তরের হিসাব বলছে, ধান-চালের জেলা হিসেবে প্রসিদ্ধ নওগাঁয় ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক দশকে প্রায় ৪ শতাংশ তিন ফসলি জমি পুকুরের পেটে চলে গেছে; আশপাশের জমিও জলাবদ্ধ হচ্ছে। বিশেষত, বিলে পুকুর খোঁড়ায় পানিপ্রবাহ বাধা পাচ্ছে, জলাবদ্ধতা স্থায়ী হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও মানুষের জীবন–জীবিকায়।

আরও পড়ুন

গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার ১০টি এলাকা ঘুরে বিষয়টি অনুসন্ধান করেছেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক। কথা বলেছেন কৃষক, মাছচাষি, বিশেষজ্ঞ আর প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ অন্তত ৬০ জনের সঙ্গে। সবাই বলছেন, অবাধে যত্রতত্র পুকুর খনন করায় কৃষকেরা হারাচ্ছেন ফসলি জমি, কৃষিমজুরেরা হারাচ্ছেন কাজ।

গত কয়েক বছরে নওগাঁ ছাড়াও রাজশাহী, নাটোর ও পাবনায় এমন যথেচ্ছ পুকুর খননের প্রবণতা দেখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম মহসিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোন এলাকায় কতগুলো পুকুরের প্রয়োজন আছে এবং পরিবেশের ওপর সেগুলোর কী প্রভাব পড়তে পারে, সেসব বিবেচনায় পুকুর খননের অনুমোদন দেওয়া উচিত।’

বিল গ্রাস করছেন প্রভাবশালীরা  

রানীনগর উপজেলায় কালিকাপুর বেড়িবাঁধের দুই ধারে বিল মনসুর, কালিকাপুর বিল ও ধনপাড়া তিন ফসলি মাঠে গত ২৬ আগস্ট গিয়ে দেখা যায়, জালের মতো বিছিয়ে আছে অসংখ্য পুকুর। কোথাও একটি পুকুরের পাড়ের সঙ্গে আরও কয়েকটি পুকুর লাগানো।

আতাইকুলা থেকে বেড়িবাঁধের ৩ নম্বর স্লুইসগেট এলাকা পর্যন্ত বিল মনসুরের পূর্ব অংশে রাস্তার দুই পাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গুনে ৬৮টি পুকুর পাওয়া যায়। বিলজুড়ে ৮০টির বেশি পুকুর রয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, এগুলো খোঁড়া হয়েছে গত ১০ বছরে। ১৫০ বিঘা আয়তনের পুকুরও আছে।
নওগাঁতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ফসলি জমিতে সবচেয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে রানীনগর ও আত্রাই উপজেলায়। কৃষকদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের দুজন সাবেক সংসদ সদস্যের প্রশ্রয়ে প্রভাবশালীরা এ কাজ করেছেন।

গবেষণাটি বলছে, যেসব পুকুরে দীর্ঘ সময় ধরে মাছ চাষ হয়, সেগুলোর কাছের ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা অপেক্ষাকৃত বেশি।

আত্রাই উপজেলার শুটকিগাছা গ্রামের বাসিন্দা মাছচাষি খয়বর রহমান বলেন, ‘পুকুর খননে প্রশাসন বাধা দিলে ভাইয়ের (সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম) কাছে গেলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।’ পরবর্তী সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনও পুকুর খোঁড়ার পক্ষে ছিলেন—‘তাঁদের সময়টাতে প্রশাসন সমস্যা করত না।’

আরও পড়ুন

সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের চকতারতা, মোক্তারপাড়া, শ্যামপুর, আলাদাদপুরসহ অন্তত ১৫টি গ্রাামের ফসলি মাঠের পানি নামে নলগাড়া বিল দিয়ে। বিলের ২০ একর খাসজমি দখল করে এলাকার মাটি ব্যবসায়ী মনির হোসেন ছোট-বড় ১০টি পুকুর খনন করেন। মাঠের অন্তত ১৫ জন কৃষক বলেন, বিলটির মাঝবরাবর পুকুর কাটায় এবার অন্তত ৫০০ বিঘা জমিতে কৃষকেরা আমন ধান আবাদ করতে পারেননি। অন্যান্য বিল ও ফসলি মাঠেও জলাবদ্ধতা হয়েছে।

বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সারওয়ার কামাল বলেন, ‘একজন ব্যক্তির বাণিজ্যিক মাছ চাষের জন্য শত শত কৃষক ফসল–আবাদ করতে না পেরে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’

বিলের তিন ফসলি জমি নষ্ট করে একের পর এক পুকুর খনন করে চলছে মাছ চাষ। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা পুকুরের এই চিত্র সম্প্রতি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার মনসুর বিলের
ছবি: প্রথম আলো

জানতে চাইলে মনির হোসেন বলছেন, এসব জমিতে সারা বছরই পানি জমে থাকায় ফসল হতো না। তিনি জমির মালিকদের কাছ থেকে ২০ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে পুকুর করেছেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন বলেন, ‘ওই বিলে নতুন করে আর যাতে কোনো পুকুর খনন না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন শক্ত পদক্ষেপ নেবে।’
সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সদস্য জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমরা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুকুরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি সমঝোতার কথা শুনে থাকি।’

১০ বছরে পুকুরের আগ্রাসন

কৃষি অফিসের হিসাবে, ২০১৪ সালে জেলায় মোট তিন ফসলি জমি ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮২ হেক্টর। ১০ বছরে সেখান থেকে কমেছে ১০ হাজার ৪৮২ হেক্টর। এর অর্ধেকের কিছু কম অংশ পুকুর হয়ে গেছে, যা ছিল জেলার মোট তিন ফসলি জমির প্রায় ৪ শতাংশ। আর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর গ্রাস করেছে আমবাগান। বাদবাকি অংশে বাসাবাড়ি ও কলকারখানা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ‘কৃষিজমি সুরক্ষা আইন ২০১৬’-এ তিন ফসলি জমির রূপান্তর বন্ধের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আইনটি পাস হওয়া জরুরি।
তন্ময় সান্যাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী

অন্যদিকে জেলা মৎস্য অফিসের হিসাবে, জেলায় বিল, প্লাবন ভূমি, নদী ও পুকুরসহ মোট ৪৮ হাজারের কাছাকাছি জলাশয় রয়েছে। এর মধ্যে পুকুর সাড়ে ৪৭ হাজারের মতো। ১০ বছরে জেলায় পুকুরের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৩৩৬টি, যার আয়তন ২ হাজার ১৪৬ হেক্টর।

আরও পড়ুন

মৎস্যচাষি ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, মৎস্য অফিসের হিসাবটি যথাযথ নয়। আসলে পুকুরের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। আদতে পুকুরের সঠিক কোনো জরিপ হয়নি।
১০ বছরে সাড়ে ৩২ হাজার মেট্রিক টনের মতো মাছের উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী বলেন, ‘মাছের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য নতুন পুকুর খোঁড়া দরকার। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমাদের তিন ফসলি কিংবা দুই ফসলি জমিকে পুকুরে পরিণত করতে হবে। আমরা এটা নিরুৎসাহিত করি।’

পুকুরে জীবিকার ক্ষতি

ফসলি মাঠের নিচু জমিতে পুকুর খুঁড়লে বর্ষার পানিপ্রবাহ বাধা পায়, বেশি সময় ধরে পানি আটকে থাকে। এখন কৃষকেরা ইজারা বাবদ বছরে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে পান।

রানীনগরের মনসুর বিলের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, তিন ফসলি জমি এক ফসলি বা অনাবাদি হয়ে পড়লে পুকুর খননকারীদের কাছে ইজারা দেওয়া ছাড়া অন্য উপায় থাকে না।

কৃষি জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। সম্প্রতি নওগাঁর রাণীননগর উপজেলার ধনপাড়া মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আবাদি জমি কমে যাওয়ায় কৃষিশ্রমিকেরা কাজ হারাচ্ছেন। বিশেষত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষি শ্রমনির্ভর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা।

পত্নীতলার চকগোপাল গ্রামের অরুণ কুমার, কার্তিক, সুবল, রাজীবসহ ১২ জন কৃষিশ্রমিক বলেন, তাঁদের পাড়ার বেশির ভাগ মানুষের নিজস্ব জমি নেই। তাঁরা অন্যের জমিতে কামলা খেটে জীবন চালান। এখন কাজ ও মজুরি দুটোই অনেক কমে গেছে। ষাটোর্ধ্ব বাবু টুডু বলেন, ‘কী আর করমু দাদা। কাজকাম নাই, তাই বাড়ির খলানত (উঠান) আজাইড়া বসে আছি। এলাকাত কাজ না প্যায়ে অনেকে শহরত য্যায়ে রিকশা চালাছে।’

নামছে ভূগর্ভস্থ পানি, বাড়ছে লবণাক্ততা

সরকারি সংস্থা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) জরিপ অনুযায়ী, বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে নিচে নামছে। এর কারণ যেমন দীর্ঘমেয়াদি খরা, তেমনি ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার। এ কারণে সরকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর ২৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নকে ‘অতি পানিসংকটাপন্ন’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বিএমডিএ নওগাঁ-১ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রায় ৭০ ভাগ ভূগর্ভস্থ পানি সেচকাজে ব্যবহার করা হয়। এখন ভূগর্ভস্থ পানি তুলে পুকুরগুলোও ভরে রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

এদিকে চলতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক গবেষণায় রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁর ছয়টি উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানি পরীক্ষা করে লবণাক্ততার উচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় লবণাক্ততা বেড়েছে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ। পানিবিজ্ঞানী আনোয়ার জাহিদের নেতৃত্বে গবেষক দলটি ২০২৪ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে পানির অবস্থা পরীক্ষা করে। গবেষণাটি বলছে, যেসব পুকুরে দীর্ঘ সময় ধরে মাছ চাষ হয়, সেগুলোর কাছের ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা অপেক্ষাকৃত বেশি।

মাছচাষি খয়বর রহমান জানান, পুকুরের মাছের গায়ে একধরনের ঘা হয়। সেটা ঠেকাতে মৎস্য কর্মকর্তাদের পরামর্শে তাঁরা প্রতি বিঘা জলার জন্য মাসে ৫ কেজি করে লবণ দেন।

নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা বলছেন, ফসলি জমিতে পুকুর খনন ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বা নীতিমালা নেই। তবে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩’ অনুযায়ী অন্যের জমিতে জলাবদ্ধতা এবং জলাশয়ের পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা অপরাধ। অভিযোগ পেলে তাঁরা অভিযান চালান, কিন্তু নজরদারির মতো জনবল তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় রাতারাতিও পুকুর খনন হয়ে যায়।’

তবে বিদ্যমান আইনেই প্রশাসন ফসলি জমিতে পুকুর খোঁড়া ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী তন্ময় সান্যাল বলছেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী ভূমির শ্রেণি বদলাতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত ‘কৃষিজমি সুরক্ষা আইন ২০১৬’-এ তিন ফসলি জমির রূপান্তর বন্ধের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আইনটি পাস হওয়া জরুরি।

আরও পড়ুন