বান্দরবানে কেএনএফের দুই সদস্যের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

বান্দরবান জেলা শহরতলির শ্যারণপাড়া এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গুলিবিদ্ধ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গোলাগুলিতে নিহত হন তাঁরা। দুজনই কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উদ্ধার করা লাশের একজন শ্যারণপাড়ার পেনখুপ বমের ছেলে লাল নু বম। তাঁর বয়স ২২ বছর। আরেকজন বেথানিপাড়ার জারথাং বমের ছেলে ভান থাং পুই বম। তার বয়স ১৫ বছর। শ্যারণপাড়ার কার্বারি ত্লোয়াং থন বম সাংবাদিকদের বলেন, শ্যারণপাড়ার লাল নু বম বখাটে ধরনের ছিল। বেথানিপাড়ার ভান থাং পুই বম রাঙামাটির কোনো স্কুলে পড়াশোনা করে বলে জানতেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্র জানায়, বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কে জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে শ্যারণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে যায়। অভিযানে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। গোলাগুলি শেষে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ কেএনএফের দুই সদস্যের লাশ পাওয়া গেছে। শ্যারণপাড়া এলাকায় অভিযান এখনো চলমান।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সকাল থেকে শ্যারণপাড়া ও গ্যেৎসেমানিপাড়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আনাগোনা দেখা গেছে। পরে গুলির শব্দ শোনা যায়।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী প্রথম আলোকে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ প্রথমে গুলি চালায়, যৌথ বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির শেষে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুজন কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ গত ২ এপ্রিল রুমায় ও ৩ এপ্রিল থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি করে। রুমায় ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা নিতে পারেনি। তবে ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশের ১০টি ও আনসারের চারটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। অস্ত্র উদ্ধার ও কেএনএফ সদস্যদের গ্রেপ্তারে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বিত অভিযান চলছে। অভিযানে এ পর্যন্ত কয়েকজন কেএনএফ সদস্য নিহত এবং ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৫ নারীসহ ৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।