রোহিঙ্গা নেতা হত্যার ৩৫ ঘণ্টা পরও কেউ ধরা পড়েনি, মামলাও হয়নি

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একটি শরণার্থী শিবির
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১২) রোহিঙ্গা মাঝি (নেতা) শাহাব উদ্দিন হত্যার ঘটনায় আজ বুধবার বেলা একটা পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে ওই আশ্রয়শিবিরের এইচ ব্লকে শাহাব উদ্দিনকে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত শাহাব উদ্দিন ওই আশ্রয়শিবিরের এইচ ব্লকের ১৪ নম্বর শেডের বাসিন্দা মনির আহমদের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ বেলা একটা পর্যন্ত মামলার এজাহার নিয়ে থানায় কেউ আসেননি। কেউ আটকও হননি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। ২০ থেকে ৩০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ওই হামলায় অংশ নিয়েছে।

নিহত শাহাব উদ্দিনের বাবা মনির আহমদ বলেন, ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাঁর ঘর ঘেরাও করে শাহাব উদ্দিনকে ধরে ঘরের বাইরে একটি দোকানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। এরপর তাঁর বুকে গুলি করা হয়।

নিহত শাহাব উদ্দিন প্রত্যাবাসনের পক্ষে রোহিঙ্গাদের জনমত গঠন এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধে আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে রাত্রিকালে পাহারার ব্যবস্থা করতেন। গতকাল বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে শাহাব উদ্দিনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় আশ্রয়শিবিরের কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, এর আগেও অন্তত ৯ জন রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কয়েকজন সন্ত্রাসী ধরা পড়লেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আরও পড়ুন