ছুটিতে দেশে ফিরবেন, স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়ে গাড়ি উল্টে সৌদিপ্রবাসীর মৃত্যু

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি যুবক সাইফুল ইসলামছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন পর সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল সাইফুল ইসলামের (২৮)। কর্মস্থলে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আত্মীয়স্বজনের জন্য কেনাকাটা করতে আরেক সহকর্মীকে নিয়ে গাড়িতে করে শহরে যাচ্ছিলেন। পথে উটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গাড়ি উল্টে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।

গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে দেশটির রাজধানী রিয়াদের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইফুল মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের পূর্ব বেলাগাঁও এলাকার বাসিন্দা শারজান মিয়ার ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাইফুল সবার বড় ছিলেন।উটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় সাইফুলদের বহনকারী গাড়িটি। পরে পুলিশ গিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। ছবি: সংগৃহীত

উটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় সাইফুলদের বহনকারী গাড়িটি। পরে পুলিশ গিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে
ছবি: সংগৃহীত

সাইফুলদের আত্মীয় পূর্ব বেলাগাঁওয়ের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম গতকাল রাত সোয়া নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সাইফুল প্রায় তিন বছর আগে সৌদি আরবে যান। সেখানে রিয়াদ শহরের কাছে একটি গ্রামে মোরগের খামারে শ্রমিকের কাজ করতেন। সৌদি আরব যাওয়ার পর তিনি আর দেশে ফেরেননি। সম্প্রতি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান তাঁকে তিন মাসের ছুটি দেয়। আগামী ৫ জুন তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল। তিনি পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে এলে স্বজনেরা তাঁকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিলেন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল সাইফুলের সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। এ সুযোগে আত্মীয়স্বজনের পছন্দের জিনিস কিনতে বাবলু মিয়া নামের এক সহকর্মীকে নিয়ে পণ্য বহনকারী একটি ট্রাকে করে রিয়াদ শহরে রওনা দেন। পথে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি উটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। এতে সাইফুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন বাবলু ও পাকিস্তানি গাড়িচালক। পুলিশ গিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। সাইফুলের লাশ রিয়াদের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত বাবলুর বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রাম পশ্চিম বেলাগাঁওয়ে। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে স্বজনেরা সাইফুলের মৃত্যুর খবর পান।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাইফুল বিদেশে যাওয়ার আগে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।