গজারিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাতজন গুলিবিদ্ধ

মুন্সিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হোসেন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ এবং একই ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান মো. আক্তার হাজীর ভাই মো. শাহ পরানের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সংঘর্ষে হারুন অর রশিদ (৩৫), তাঁর পক্ষের রনি (৩৪), আক্তার হোসেন (৩৮), আনন্দ (২৫) ও মোক্তার হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হারুনের পক্ষের  মো. হাসিব (২২) ও শাহিনূর বেগমও (৫৫) আহত হয়েছেন। মো. শাহ পরান পক্ষের গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন মো. রিয়াদ হোসেন (২৪) ও আক্তার হোসেন (৪০)। আহত অন্যজন হলেন মো. মোক্তার হোসেন (৪২)।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হোসেন্দী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহ পরান ও হারুন অর রশিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খানের (জিন্নাহ) পক্ষে অবস্থান নেন শাহ পরান। অন্যদিকে হারুন অর রশিদেরা আমিরুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে মনসুর আহমেদ খান জয়লাভ করেন। এর পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসার চেয়ার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রোববার রাতে হারুন অর রশিদেরা গোয়ালগাঁও গ্রামে শাহ পরানদের সমর্থক আমানউল্লাহ এবং ঈমনদের বাড়িতে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পক্ষ দুটি গোয়ালগাঁও গ্রামের দিলা মিয়ার মুদিদোকানের সামনে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পাওয়ার পরপর ঘটনাস্থলে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। শুনেছেন কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।