কুড়িগ্রামে বাল্যবিবাহ করতে এসে বর গেলেন শ্রীঘরে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

বিয়ে শেষে নতুন বউ নিয়ে বাড়িতে ফেরা হলো না বরের। এর আগেই যেতে হলো কারাগারে। গতকাল বুধবার রাতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। বাল্যবিবাহের ঘটনায় ওই বর ও তাঁর নানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল কাদেরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৯) ও ইসমাইলের নানা ফকির বাদশাহ। তাঁরা একই উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের ভরতেরছড়া গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা এ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে পাইকেরছড়া ইউনিয়নের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সোনাহাট ইউনিয়নের ইসমাইলের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এদিকে বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তি ইউএনওর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। ইউএনওর আসার খবর পেয়ে দ্রুত বিয়ের কার্যক্রম শেষ করে মেয়ের বাড়ি থেকে চলে যায় বরযাত্রী।

পরে পুলিশসহ ইউএনও দীপক কুমার কুড়ারপাড় এলাকা থেকে ইসমাইল ও ফকির বাদশাহকে আটক করেন। পরে রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইসমাইল ও তাঁর নানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ইউএনও দীপক কুমার বলেন, ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে না পাঠানোর শর্তে ওই ছাত্রীকে বাবার বাড়িতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর ও তাঁর নানা দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বাল্যবিবাহের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।