গোয়ালন্দে নদীতে নেমে নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর ভাসল শিশুটির লাশ

শিশুর লাশ
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানেলঘাট এলাকায় পদ্মার একটি শাখানদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর লাশ ভেসে উঠেছে রবিন মোল্লা (১২) নামের এক শিশুর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করেন। পরে পরিবারে কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্যানেলঘাট এলাকায় পদ্মার ওই শাখানদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় রবিন। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট-সংলগ্ন সিদ্দিক কাজীপাড়ার মৃত রফিক মোল্লার ছেলে। রবিন স্থানীয় বড় সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

রবিনের মামা ইমন আলী বলেন, মঙ্গলবার সকালে রবিনের বড় বোনের ছেলে সাজ্জাতের সঙ্গে নদীতে বর্ষার নতুন পানিতে গোসল করতে যায় রবিন। এতে প্রচণ্ড স্রোতের তোড়ে পড়ে রবিন পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্য শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রবিনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে অভিযান চালান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তার হদিস মেলেনি। পরদিন আবার অভিযান শুরু হয়। পরে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে রবিনের লাশ নদীতে ভেসে ওঠে।

রবিনের মা ময়না বেগম বলেন, অনেক আগেই তাঁর স্বামী মারা যাওয়ায় দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। সবার ছোট ছিল রবিন। মঙ্গলবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাবে বলে ভাত খেতে চায়। খাবার দিয়ে তিনি মাঠে গরুর ঘাস কাটতে যান। পরে বেলা ১১টার দিকে খবর পান, নদীতে গোসলে নেমে রবিন নিখোঁজ হয়েছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। দুপুরে ডুবুরি দলের সদস্য তানভীর পানির নিচে স্রোতের তোড়ে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে যাওয়ায় ‍গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটির লাশ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে লাশটি উদ্ধার করে রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।