শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে: ইসি আনোয়ারুল ইসলাম

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। শনিবার সকালেছবি: প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী নির্বাচন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার আরপিওতে সংশোধন আনা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যৌক্তিক মনে করলে একটি আসনের সব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে পারবেন, আইনে সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেন। কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের কোডেক ট্রেনিং সেন্টারের সভাকক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসারের আইনি ক্ষমতা আছে। তার অর্থ এই নয়, যেনতেনভাবে একটি আসনের নির্বাচন বাতিল করে দেব। মনে রাখতে হবে, এই নির্বাচনের পেছনে একটি টাকাও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের টাকা। এই নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হবে। সেটির অপব্যবহার যাতে না হয়, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে পোস্টার থাকবে না। এবারের নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের অনেক ক্ষমতা থাকবে। সেই ক্ষমতাটা কী? প্রিসাইডিং অফিসার যদি বলেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারকে বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে আমি সেন্টারের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ফলাফল দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। সুতরাং আমি সেন্টার বাতিল ঘোষণা করলাম। আমরা অ্যাকসেপ্ট করে নেব।’ কর্মশালায় তিনি আগামী নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং মিথ্যা, অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো রোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কার্যালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, বাউফল, দুমকি, রাঙ্গাবালীসহ আট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ৬০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।

বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার হামিদ প্রমুখ।