চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মুঠোফোন চুরির অভিযোগে এক হোটেলকর্মীর চুল কেটে শরীরে পোড়া মবিল ঢেলে জনসমক্ষে ঘোরানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কালাবিবি দীঘির মোড়ের টানেল রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার একটি ২৯ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ টানেল রেস্টুরেন্টের মালিক মোহাম্মদ মাসুদ (৪৪) ও কর্মচারী মো. ফখরুদ্দিনকে (২৯) আটক করে।
নিপীড়নের শিকার হোটেলকর্মীর নাম মো. হিরু আলম (৩২)। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবকের মাথার চুল কেটে ফেলা হয়েছে এবং শরীরের ওপর পোড়া মবিল মাখানো। তাঁর চারপাশে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, যাঁদের মধ্যে রেস্টুরেন্টের মালিকও আছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। এ ছাড়া ছবিতে এক ব্যক্তিকে লাঠি হাতেও দেখা যায়।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকাবাসী ও বিভিন্ন পেশাজীবী ঘটনার নিন্দা জানান। তাঁরা এটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণ–অবমাননার ঘটনা বলে মন্তব্য করেন।
আটক হওয়ার আগে রাত আটটার দিকে টানেল রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে হিরু আলম আমার রেস্টুরেন্টে এক দিন কাজ করার পর সহকর্মীর দুটি মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে খবর পাই, চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ানহাট এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করছে। সেখান থেকে এনে রেস্টুরেন্টের ছেলেরা ওর চুল কেটে দেয়। তবে আমি তাকে মারধর করতে দিইনি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, মুঠোফোন চুরির অভিযোগে কর্মচারীকে নির্যাতনের ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। এটি স্পষ্টতই একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।