প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ সাত দাবিতে ফয়জুন্নেসা হলের ছাত্রীদের বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের আবাসিক ছাত্রীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ সাত দাবিতে বিক্ষোভ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায়
ছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ নাহিদ হকের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে এই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এর আগে ছাত্রীরা হলের ক্যানটিনে তালা ঝুলিয়ে দেন।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো—বর্তমান ক্যানটিন বন্ধ করে খাবারের মান বাড়িয়ে নতুন ক্যানটিন চালু, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বাড়ানো, হলের সংস্কারকাজ শিগগিরই সম্পন্ন করার পাশাপাশি সংস্কারকাজের যথাযথ পর্যবেক্ষণ, নতুন নতুন নিয়মের নামে ছাত্রী হয়রানি বন্ধ, হলের প্রয়োজনীয় স্থানগুলোকে ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা এবং পড়ার কক্ষ নির্মাণ করা।

এসব দাবিতে সাড়ে চার ঘণ্টা যাবৎ হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলেও প্রাধ্যক্ষ নাহিদ হক সেখানে যাননি। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ হেল কাফী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ মোহা. মুজিবুর রহমান সেখানে যান। তাঁরা ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়।

আন্দোলনরত ছাত্রীরা বলছেন, সম্প্রতি হলের ক্যানটিনে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম কমানোর প্রস্তাব দেন। এর পর থেকে খাবারের মান কমানোসহ ক্যানটিন মালিক ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যানটিনের খাবারের মান বাড়ানোর বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কোনো প্রয়োজনেই হলের প্রাধ্যক্ষকে পাওয়া যায় না বলেও জানান তাঁরা।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শ্রাবণী আক্তার বলেন, ‘হলের সংস্কারকাজে দীর্ঘসূত্রতার কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে যে আমরা হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব সেই প্রাধ্যক্ষকেই কখনো পাওয়া যায় না। তাঁর মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কেটে দেন।’

এসব বিষয়ে জানতে অধ্যাপক নাহিদ হকের মুঠোফোনে গতকাল রাতে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ হেল কাফী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিকতা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ হয় এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। এ জন্য আমরা হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’