ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১৫

নিহত আবদুল আওয়াল
ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সেলন্দা গ্রামের বাধার বিলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষকের নাম আবদুল আওয়াল (৫০)। তিনি উপজেলার সেলন্দা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মুজিবর রহমান (৬০), মিঠু হোসেন (৪০), মিরাজুল ইসলাম (২৮), সিরাজুল ইসলাম (২৫), হাসিদুল ইসলাম (৩০), হিটু প্রামাণিক (২৮), লাল চাঁদ (২৫), মনিরুল ইসলাম (২৫), আশিক হোসেন (১৫), হাসিনা খাতুন (৫০), জুলহাস প্রামাণিক (৩৮), লিটন হোসেন (৩২) ও বাবলু হোসেন (৩০)। আহত বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাধার বিলের জমি নিয়ে সেলন্দা গ্রামের আমজাদ আলী ও মুজিবর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিয়ে গ্রামের প্রধানেরা এর আগে একাধিকবার সালিসও করেছেন। এবার বোরো ধানের মৌসুমে ওই জমিতে মুজিবর রহমানের লোকজন ধান রোপণ করেন। কিন্তু আজ সকালে সেখানে আমজাদ আলী তাঁর লোকজন নিয়ে ধান কাটতে যান। এতে বাধা দেন মুজিবর রহমান ও তাঁর লোকজন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে টেঁটা ও ফালার আঘাতে মুজিবর রহমানের পক্ষের আবদুল আওয়াল ঘটনাস্থলেই মারা যান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই পক্ষ একে অপরের আত্মীয়। জমি নিয়ে উভয় পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। আমিসহ গ্রামের প্রধানেরা মিলে সালিস করে একাধিকবার দুই পক্ষকে মিলিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আজ এমন দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটল।’

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।