লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য খোরশেদ হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খোরশেদ আলম হত্যা মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মো. মিলন ও রুবেল নামের দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক। মামলায় অন্য ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন মো. জামাল হোসেন (৩৯), জসিম উদ্দিন (৩৪), শাহজাহান (২৯), ফয়সাল খান জয় (২৯), মিলন ওরফে সিএনজি মিলন (৩৩), আল আমিন (৩৯), মো. বরকত (২৬), মো. নিশান (২৬), মো. লোকমান (৩৫), মো. রুবেল (২৯) ও মো. সুমন (৩৬)। দণ্ড ও খালাস পাওয়া আসামিরা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ও দত্তপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, নিহত খোরশেদ আলম সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে খোরশেদ আলমকে গুলি করে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। অন্য তিন আসামি খোরশেদ আলম, শাহাদাত ও ইলিয়াস কোবরা বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।