সরাইলে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঝড়ে উড়ে যাওয়া ঘরের টিন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলি গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে কয়েক শ গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ছিঁড়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। ৩০-৩৫টি কাঁচা বসতঘর ভেঙে গেছে। আজ শুক্রবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঝড়ে উপজেলার শাহবাজপুর ও শাহজাদাপুর ইউনিয়ন দুটির সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলি গ্রামের ওপর দিয়ে আজ বেলা সোয়া তিনটার দিকে ঝড় বয়ে যায়। পাঁচ মিনিটের ঝড়ে মেরাতলি গ্রামের ১২-১৪টি বাড়ির ৩০-৩৫টি কাঁচা বসতঘর ভেঙে গেছে। গ্রামের ছোট-বড় অসংখ্য পাছপালা উপড়ে গেছে। অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হয়েছে। শাহবাজপুর ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলি গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সরাইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ বিকেল সোয়া চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, শাহবাজপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে টানা সঞ্চালন লাইনের ওপর গাছ পড়েছে। এসবের মেরামত করে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলেই আছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’

শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দুই মাস আগে এখানে সরকারি জায়গায় বসতি স্থাপন করেছে। তারা আগে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ছিলেন। সড়কের উন্নয়নকাজের কারণে স্থান ত্যাগ করেছেন। তারা খুবই দরিদ্র।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বিকেল পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঝড়ে অনেক বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও ফসলি জমিরও ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১২টি পরিবারকে আপাতত ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। পরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে তাদের টিন ও অর্থ দেওয়া হবে।’