পলাশে নিখোঁজের পরদিন পুকুরে ভেসে উঠল কিশোরের লাশ

মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের পরদিন এক কিশোরের লাশ পুকুরে ভেসে উঠেছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের জিনারদী গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মৃত ওই কিশোরের নাম মাখফিদুল ইসলাম ওরফে নুরু (১৭)। সে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের রাঘবদী গ্রামের অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পরিবারে দারিদ্র্যের কারণে কখনো স্কুলে যাওয়া হয়নি তার।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল ইসলাম, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম গাজী।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে বের হয়েছিল মাখফিদুল। এর পর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুরো দিন-রাত তাকে আশপাশের এলাকা ও স্বজনদের বাড়িঘরে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। আজ বেলা তিনটার দিকে বাড়িসংলগ্ন পুকুরে তার লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পলাশ থানার পুলিশ ওই পুকুর থেকে তার ফুলে ওঠা লাশ উদ্ধার করে। পাড়ে তোলার পর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মৃত কিশোরের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, গতকাল সকালে প্রতিবেশী জয়নাল মিয়ার স্ত্রী লাইলি বেগম তাঁদের গাছের কাঁঠাল পেড়ে দেওয়ার জন্য মাখফিদুলকে ডেকে নিয়েছিলেন। লাশ পাওয়া গেছে যে পুকুরে, তার একপাশেই কাঁঠাল গাছটির অবস্থান। আজ ছেলের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই জয়নাল মিয়া পলাতক। তাঁর পরিবারের সদস্যদের আচরণও সন্দেহজনক। আমার ছেলেকে তাঁরা মেরে ফেলেছেন কি না, তার তদন্ত দরকার।’

পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘সুরতহাল করার সময় নিহত কিশোরের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বলা যাবে, তাঁর সঙ্গে ঠিক ঘটেছিল। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগও পাইনি আমরা।’