দশমিনায় ‘জনগুরুত্বপূর্ণ’ স্থানে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

আজ সোমবার সকালে গছানি-বাঁশবাড়িয়া চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ও বহরমপুর ইউনিয়নের সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি ‘জনগুরুত্বপূর্ণ’ স্থানে নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে গছানি-বাঁশবাড়িয়া চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ও বহরমপুর ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেতুটি দক্ষিণ দাসপাড়া বাজারের উত্তর পাশে নির্মাণ করা হবে। তবে স্থানীয় লোকজনের দাবি, ওই স্থান থেকে ২০০ মিটার দূরে গছানি–বাঁশবাড়িয়া চৌরাস্তা এলাকায় সেতুটি নির্মাণ করা হলে দুই ইউনিয়নের মানুষ উপকৃত হবে।

এলজিইডি দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আরসিসি গার্ডার সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার। ব্যয় ধরা হয়েছে, ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮১ টাকা। বাঁশবাড়িয়া ও বহরমপুর ইউনিয়নের আমতলা খালের ওপর সেতুটি নির্মাণের জন্য গত ১৬ অক্টোবর মেসার্স গাজী কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স আইয়ান এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কার্যাদেশ পেয়েছে। জাইকার অর্থায়নে সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে এলজিইডি।

এদিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালামাল নিয়ে সেতু নির্মাণের স্থানে গেলে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দাসপাড়া বাজারের উত্তর পাশে সেতুটি নির্মাণ করা হলে দুই ইউনিয়নের মানুষকে অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হবে। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় ও স্থানীয় মানুষের যাতায়াত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে চৌরাস্তা এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হোক।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বহরমপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা, বাঁশবাড়িয়া ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম হাওলাদার, ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন হাওলাদার, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শাকিল, আবদুল গনি মাওলানা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা এনায়েত করিম প্রমুখ।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সেতুটি জাইকার অর্থায়নে এলজিইডি বাস্তবায়ন করবে। জাইকার কাজ সেতুর স্থানান্তর করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অবহিত করা হবে।’