ঝালকাঠিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম

প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দুজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক) খান আরিফুর রহমানের দুই কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন খানের কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা শেখেরহাট ইউনিয়নের বংকুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় লাভলু খান (২৬) ও জসিম হাওলাদারকে (২৫) ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুযায়ী, নুরুল আমিন খান সুরুজের কর্মীরা আজ সোমবার দুপুরে টাকা দিয়ে ভোট কেনার জন্য বংকুরা গ্রামে প্রবেশ করেন। এতে বাধা দেন খান আরিফুর রহমানের কর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নুরুল আমিন খানের কর্মী শুভ্র খানের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য মতিউর রহমান, চৌকিদার কামরুল, শরিফুল ইমরানসহ ৮–১০ জন আনারস প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে লাভলু খান ও জসিম হাওলাদারকে আহত করে। পরে তাঁদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত জসিম হাওলাদারের অভিযোগ, রোববার রাত থেকে কাপ পিরিচের পক্ষে টাকা দিয়ে ভোট কেনা শুরু হয়। আজ দুপুরে প্রার্থীর ভাইয়ের ছেলে শুভ্র খান লোকজন নিয়ে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিলেন। এতে বাধা দিলে তাঁদের দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।

তবে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন খান সুরুজ বলেন, ‘আমি গরিব প্রার্থী। আমার কর্মী–সমর্থকেরাও গরিব। আমার পক্ষ থেকে কাউকে টাকা দেওয়া হয়নি। একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরেফিন বলেন, দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।