নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কের বাড়িতে ককটেল হামলা

নোয়াখালী–৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক বাহার উদ্দিনের বাড়ির ফটকে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিনের বাড়ির সামনে ককটেল হামলা ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নোয়াখালী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিনের বড় ভাই ও তাঁর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিনের বাড়ির সামনে ককটেল হামলা ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পশ্চিম চর জুবলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সুবর্ণচরের চর জব্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। তাঁর অনুসারীরাই এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিনের ভাই বাহার উদ্দিনের। বাহার উদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশে চর জুবলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হানিফের লোকজন তাঁর বাড়িতে ওই ককটেল হামলা চালিয়েছেন।

বাহার উদ্দিন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তিনি তাঁর ছোট ভাই শিহাব উদ্দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরেন। আজ ভোর চারটার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলের শব্দ শোনা যায়। এ সময় তাঁর বাড়ির সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তাঁর বাড়ির কাঠের ফটকের পাশে খড় দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য সংসদ সদস্য মো. একরামুল করিম চৌধুরী মুঠোফোন একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়, তবে তিনি কল না ধরে কেটে দেন। পরে একই বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁর অনুসারী সাবেক চেয়ারম্যান মো. হানিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাজনীতি এতটাই নিচে নেমে গেছে, যা তিনি ভাবতে পারছেন না। এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগে তিনি হতবাক হয়েছেন।

আজ সকালে চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বাহার উদ্দিনের বাড়ির কাঠের ফটকের সামনে কিছু খড়কুটাতে আগুন দেওয়ার আলামত পাওয়া গেছে, তবে ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।