পাঁচবিবিতে বিএনপির সম্মেলন চলাকালে বিস্ফোরণ, ফাঁকা গুলি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে বিস্ফোরণের পর পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়। শনিবার বিকেলে ধরঞ্জি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জি ইউনিয়ন বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন চলাকালে মঞ্চের পেছনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে সম্মেলনে আসা দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার বেলা তিনটার দিকে ধরঞ্জি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পরে সম্মেলনস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে গিয়ে দলটির নেতারা আংশিক কমিটি ঘোষণা করে চলে যান।

পাঁচবিবি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইশতিয়াক আলম বলেন, সম্মেলন শুরুর সময় মঞ্চের পেছনে ককটেলজাতীয় কিছু বিস্ফোরিত হয়। তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজেদের বিবাদে জড়ান। পুলিশ তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩০–৪০ লাঠি জব্দ করা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা তিনটায় ধরঞ্জি ইউনিয়ন বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হচ্ছিল ধরঞ্জি উচ্চবিদ্যালয়ে। সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ধরঞ্জি ইউনিয়ন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে। এর জেরেই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।

পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ধরঞ্জি ইউনিয়ন বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন চলাকালে মঞ্চের পেছনে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সম্মেলনস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে পাড়ইল গ্রামে গিয়ে ধরঞ্জি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে আবদুল হাকিম মণ্ডলের নাম ঘোষণা করে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। মঞ্চের পেছনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন বলেও দাবি করেন তিনি।