ময়মনসিংহে দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের ৩ জন একই পরিবারের

ত্রিশালের বালিপাড়ায় গতকাল বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হনছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহে গতকাল মঙ্গলবার পৃথক চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত হন। তাঁদের সবার নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের।

গতকাল ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ময়মনসিংহ সদরে তিনজন, ত্রিশালে চারজন ও তারাকান্দায় একজন নিহত হন। সদর উপজেলায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকার লুৎফর রহমান (৩০), তাঁর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন (২৫) ও তাঁদের ২ বছরের শিশু মাহিন। নিহত দম্পতি ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিতে মাহিন্দ্রায় করে বাড়ি ফিরছিলেন লুৎফর রহমানসহ একই পরিবারের চারজন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাসের পেছনে ধাক্কা দেয় মাহিন্দ্রাটি। এতে ঘটনাস্থলেই ২ বছরের শিশু মাহিন মারা যায়। আহত হন লুৎফর রহমান ও তাঁর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন, লুৎফর রহমানের ভাই মুজাহিদ। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লুৎফর ও শাহনাজকে মৃত ঘোষণা করেন। মুজাহিদ চিকিৎসাধীন।

ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল বাজার এলাকায় গতকাল সকাল ছয়টার দিকে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে যাত্রীবাহী পিকআপ ইউ টার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। নিহত দুজন হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মারুফ (১৮) ও নান্দাইল উপজেলার আপেল মিয়া (৩০)।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ত্রিশালের বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। এই দুজন হলেন ত্রিশাল উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামের নাসিমা আক্তার (৩০) ও জিহাদ মিয়া (২৪)।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ময়মনসিংহ থেকে একটি বাস ধোবাউড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে ডেওয়াতলী এলাকায় বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল বাশার (৫৫) নামের এক যাত্রী নিহত হন। তিনি একই উপজেলার টিংগুলিয়াকান্দা গ্রামের মেহের আলী মুন্সির ছেলে।