দুপুরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুই কক্ষের একটি বাসা ভাড়া নেন এক নারী ও এক পুরুষ। ভাড়া নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় সেই পুরুষের লাশ। এ ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পরিচয় দেওয়া সেই নারীকে পাওয়া যাচ্ছে না। নওগাঁ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বউবাজার এলাকা থেকে গতকাল বুধবার রাতে ওই ব্যক্তির লাশ করে সদর থানা পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম মিলন হোসেন (৩০)। তিনি নওগাঁ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোমাইগাড়ী এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে।
পুলিশ বলছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। স্ত্রী পরিচয় দানকারী সেই নারী তাঁকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাড়ি মালিক জুলেখা আক্তার জানান, বাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখে গতকাল দুপুরেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তাঁদের বাসা ভাড়া নেন ২৮-৩০ বয়সী এক নারী ও এক পুরুষ। ভাড়া ঠিক হওয়ার পর বাড়িটি অপরিষ্কার থাকায় তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘরগুলো পরিষ্কার করতে চায়। পরিষ্কারের জন্য বাড়িটি ছেড়ে দিলে দুপুর থেকেই ঘর ধোয়া-মোছার কাজ করছিলেন সেই ‘দম্পতি’। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে বাসায় তালা দেখতে পাওয়া যায়। পরে রাত ১০টার দিকে বাড়িটির একটি ঘরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে মেঝেতে সেই পুরুষের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশকে খবর দিলে রাত ১২টার দিকে এসে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মা সালমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রাথমিক তদন্তে এবং নিহত ব্যক্তির স্বজনদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কারা কি জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে।