টেকনাফে মেছো বাঘের বাচ্চা উদ্ধারের পর অবমুক্ত করল বন বিভাগ

মেছো বাঘের বাচ্চাটি উদ্ধারের পর টেকনাফ বেতবাগান-সংলগ্ন সায়রন খাল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার নেটং পাহাড়-সংলগ্ন নাইট্যংপাড়া এলাকা থেকে মেছো বাঘের একটি বাচ্চা উদ্ধারের পর অবমুক্ত করা হয়েছে। এটির বয়স এক থেকে দেড় বছর।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে নাট্যংপাড়া এলাকার মোহাম্মদ শাহ এমরানের বাড়ি থেকে মেছো বাঘের বাচ্চাটি উদ্ধার করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। এরপর বেলা তিনটার দিকে টেকনাফ বন বিভাগের বেতবাগান-সংলগ্ন সায়রন খাল এলাকায় এটিকে অবমুক্ত করা হয়।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের টেকনাফ সদরের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেছো বাঘের বাচ্চাটি উদ্ধারের পর রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এরপর এটিকে মাছ খেতে দেওয়া হয়। পরে বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারোয়ার আলমের নির্দেশনা পেয়ে এটিকে টেকনাফ বন বিভাগের বেতবাগান-সংলগ্ন সায়রন খাল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়।

মেছো বাঘের বাচ্চাটি দেখার জন্য লোকজন ভিড় করেন জানিয়ে আবুল কালাম বলেন, এটির উচ্চতা প্রায় দেড় ফুট ও দৈর্ঘ্যে আড়াই ফুট। গায়ে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। মুখমণ্ডল বিড়ালের মতো। গায়ের রং ধূসর। এটি পুরুষ মেছো বাঘ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নাইট্যংপাড়া এলাকার মোহাম্মদ শাহ এমরানের বাড়িতে শিশুরা খেলাধুলার সময় মেছো বাঘের বাচ্চাটি দেখতে পায়। এরপর স্থানীয় লোকজন এসে এটিকে জাল দিয়ে ধরে বন বিভাগে খবর দেন।

অবাধে বনজঙ্গল উজাড় হওয়ায় খাদ্যসংকটে পড়ে মেছো বাঘের বাচ্চাটি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বলে ধারণা করেন কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথমে আমরা মেছো বাঘের বাচ্চাটি উদ্ধার করে এনে একটি কক্ষে রেখে পর্যবেক্ষণ করেছি। সুস্থ থাকায় বিকেলে এটাকে টেকনাফ বন বিভাগের বেতবাগান-সংলগ্ন সায়রন খাল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।’