বাসে বাড়তি ভাড়া, রেলে স্বস্তির যাত্রা

গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে শহর ছাড়ছে মানুষ। চট্টগ্রাম নগরের অলংকার মোড়ে বাস স্টেশনে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়। আজ সকাল ১০টায়ছবি: জুয়েল শীল

কাজের সূত্রে চট্টগ্রাম নগরে বসবাস করেন নোয়াখালীর বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম। প্রতিবছর ঈদে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে প্রতিবারই পোহাতে হয়েছে বাড়তি ভাড়ার ভোগান্তি। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। আজ শুক্রবার নগরের অলংকার এলাকায় কথা হয় সাইদুলের সঙ্গে। এ সময় বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।

সাইদুল বলেন, স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর বাসভাড়া ৩৫০ টাকা। তবে ঈদের অজুহাতে এখন ৫৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবারই একই অবস্থা। একই কথা জানান আরেক যাত্রী বুলু চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বলেন, ঈদ কেন্দ্র করে প্রতিবছরই বাড়তি ভাড়া নেয় কাউন্টারগুলো।

চট্টগ্রাম নগরের অলংকার মোড় থেকে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বাস ছেড়ে যায়। প্রতিটি বাসে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। অধিকাংশ যাত্রী বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ঢাকাগামী প্রতিটি বাসে ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি।

বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্টারগুলো জানায়, ঈদের আগে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বাসের ভাড়া। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা কিছু বলতে রাজি হননি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের একে খান ও অলংকার মোড়ে বিভিন্ন কাউন্টার ও বাসে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসনের মনিটরিং টিম। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি ভাড়া তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাসে বাড়তি ভাড়ার ভোগান্তি থাকলেও রেলে স্বস্তিতে যাত্রা করছেন বাড়ি ফেরা লোকজন। জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ১০টি আন্তনগর ট্রেন রয়েছে। এর বাইরে ঈদুল আজহা সামনে রেখে আরও ৮টি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চারটি, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে দুটি ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে দুটি ট্রেন।

চট্টগ্রাম নগরের অলংকার মোড়ে বাস স্টেশনে বাসের জন্য অপেক্ষায় যাত্রীরা। আজ সকাল ১০টায়
ছবি: প্রথম আলো

আজ চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ভোগান্তি কম ছিল। রেলে স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।