পাথরঘাটায় বিএনপির লিফলেট বিলি শুরুর আগেই ছাত্রলীগের হামলা, ৭ নেতা আহত
বরগুনার পাথরঘাটায় বিএনপির ১০ দফা দাবি ও ২৭ দফা প্রস্তাবের লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলায় বিএনপির সাত নেতা আহত হয়েছেন। এ সময় কার্যালয়ের কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
বিএনপি বিভিন্ন সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়ে আসছিল। ওই কটূক্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের কিছু নেতা–কর্মী অবস্থান নিয়েছিলেন।
আহত নেতারা হলেন পাথরঘাটা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ, পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এরফান আহমেদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আকন, পাথরঘাটা পৌর বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব খায়রুল শরীফ ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সাঈদ বেল্লাল। তাঁদের মধ্যে মাসুম বিল্লাহকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ছয়জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রুবাইয়াত আলী শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দলীয় কার্যালয় জড়ো হচ্ছিলেন নেতা–কর্মীরা। এ সময় উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা লিফলেট বিতরণে নামতে বাধা দেন। একপর্যায়ে পৌর বিএনপি নেতা–কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহসহ সাত নেতা আহত হন। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ের চারটি চেয়ারও ভাঙচুর করা হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ালিদ মক্কী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি বিভিন্ন সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়ে আসছিল। ওই কটূক্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের কিছু নেতা–কর্মী অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে কার্যালয়ে কেউ হামলা করেননি। দু–চারটি চেয়ার নিজেরা ভেঙে ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এরফান আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা দলীয় কার্যালয় জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা অফিসে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর করে। এরপর দফায় দফায় তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ ও বিএনপির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে শুনেছেন।