স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যাওয়া স্বামী গ্রেপ্তার

ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে প্রবাসফেরত সুমি আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী রুপন আহমেদ (৩০)। ময়নাতদন্ত শেষে সুমির লাশ দাফনের আগেই তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুপন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হারুনুর রশিদ।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে ঘোড়াশাল পৌরসভার মিয়াপাড়া এলাকায় ঘর ঝাড়ু দিতে গিয়ে খাটের নিচে সুমির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনেরা। পরে খবর পেয়ে ঘোড়াশাল ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই রুপনকে আসামি করে নিহত সুমির বাবা ফজলুর রহমান মামলা করেন।

গ্রেপ্তার রুপন আহমেদ পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার মিয়াপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। সুমির বাবার বাড়িও একই এলাকায়। সাত বছর আগে রুপনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সুমির বিয়ে হয়। তাঁরা ওই এলাকার আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। এই দম্পতির চার বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, দুই বছর আগে উপার্জনের জন্য সৌদি আরবে গিয়েছিলেন সুমি। দেড় মাস আগে ছুটি কাটাতে দেশে আসেন। এর পর থেকেই স্বামী রুপনের সঙ্গে তাঁর টাকাপয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এসবের জের ধরেই সুমিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে রুপন।

কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল দুপুরে শিশুসন্তানকে তার খালার কাছে রেখে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রুপন। ওই দিন বিকেলে ওই পরিবারের এক নারী খাটের নিচে ঝাড়ু দিতে গেলে সুমির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘোড়াশাল ফাঁড়ির পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরে এ ঘটনার তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুপনকে গ্রেপ্তার করেন ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হারুনুর রশিদ।

রুপনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদীর পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুপন তাঁর স্ত্রী সুমিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে এরই মধ্যে নরসিংদী আদালতে পাঠানো হয়েছে।