দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মেঝের নিচে মিলল নারীর অর্ধগলিত লাশ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের মেঝের নিচ থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামের ওই ভবনে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে লাশটির সন্ধান পান স্থানীয় লোকজন। ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তাঁর বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর হবে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
সদর থানা-পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাবুল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে একতলা ভবন নির্মাণ করছেন। পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে নির্মাণাধীন ভবনটির দরজা-জানালা এখনো লাগানো হয়নি। বাড়িতেও কেউ থাকেন না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশী আবদুস সালাম ওই ভবনের পাশ দিয়ে নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পান। এর পর সালামসহ স্থানীয় লোকজন ওই ভবনের একটি কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে ধারণা করেন। পরে বিষয়টি জানিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় সদর থানার পুলিশের নির্দেশনায় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শামসুল হক ভবনের ফটকের ভেতরে যান।
ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, ভবনের ভেতরে ঢুকে পশ্চিম-উত্তর পাশের একটি কক্ষের কাঁচা মেঝে থেকে দুর্গন্ধ পান তাঁরা। পরে মেঝের মাটি সরালে তাঁরা ওই নারীর বাম হাতের কবজি দেখতে পান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
খবর পেয়ে রাত আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর মাটি খুঁড়ে রাত ১২টার দিকে অর্ধগলিত ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, ওই বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক বাবুল মিয়া। কেউ না থাকায় বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাবুল কোথায় থাকেন, তা এলাকাবাসী নিশ্চিত নন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, উদ্ধারের সময় অর্ধগলিত লাশের গায়ে কোনো জামাকাপড় ছিল না। ওই নারীকে এক অথবা একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ ওই ভবনের কক্ষের মেঝের নিচে মাটিতে পুঁতে রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়ির মালিক বাবুলকে আটক করতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।