গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা

হামলায় গাড়ির কাচ ভেঙে হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে আজ সোমবার বিকেলে বাসন থানায় এই মামলা করেন। মামলায় হাসনাত আবদুল্লাহকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান প্রথম আলোকে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আজ সকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান প্রথম আলোকে বলেন, যে সরকারকে তাঁরা বিদায় করেছেন, সেই সরকারের লোকজনই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা নানা ইস্যু তৈরি করার জন্য এই হামলা করেছেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

গাজীপুরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন খান বলেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অনেক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। গত রাতে আটক ৫৪ জনের মধ্যে ৪৩ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের অন্য মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাব্বিকে (২৮)। এছাড়া মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সালনার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে এসে তাঁর গাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তিনি হাতে আঘাত পান এবং গাড়ির গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় হাসনাতের গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেলে হাসনাত আবদুল্লাহর কনুইয়ের কয়েক জায়গায় কেটে যায়।

মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পরপরই জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক মহানগরীর বাসন এলাকা থেকে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু–কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ ওরফে দিপুকে আটক করা হয়। পরে রাতভর পুলিশ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন