হয়রানি বন্ধের দাবিতে শ্রীপুরে অটোরিকশাচালকদের দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ

মহাসড়কে অটোরিকশা রেখে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা। রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় ছবিছবি: সংগৃহীত

হয়রানি বন্ধ ও মহাসড়কে অটোরিকশা চালানোর অনুমতির দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে দেড় ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকেরা। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অবরোধকারীরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। উচ্চ আদালতের আদেশেই মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ আছে বলেও জানায় পুলিশ।

অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়ক ছাড়া আঞ্চলিক সড়কগুলোতে তাঁরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান। হাইওয়ে পুলিশ আঞ্চলিক সড়কের মোড় থেকে অটোরিকশা ধরে এনে জরিমানা করে। তাঁদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে কিছু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে মহাসড়কে চলতে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, গুটিকয়েক নয়, সবাইকে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে দিতে হবে।

মো. আল আমিন নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, যাঁরা হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে মাসিক চুক্তি করেন, তাঁদের মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে দেওয়া হয়। অন্যরা জরুরি প্রয়োজনে মহাসড়কে উঠলেই জরিমানা করে। একই সড়কে দুই ধরনের নিয়ম থাকবে কেন? অটোরিকশাচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ভেতরের রাস্তায় যাওয়ার জন্য যাত্রী তুলতে গেলেও হাইওয়ে পুলিশ এসে জরিমানা করে। এ ধরনের হয়রানি যেন পুলিশ বন্ধ করে, সেই দাবিতে তাঁরা আজ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

আরেক চালক আজিজুল ইসলাম বলেন, তাঁরা সন্ধ্যা সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ রেখে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে দাবিদাওয়া পেশ করেছেন। তিনি আরও বলেন, একই মহাসড়কে কাউকে চলতে দেওয়া হবে, আবার কাউকে দেওয়া যাবে না—এই দ্বৈতনীতি বন্ধ করতে হবে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব মোর্শেদ রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ আছে। এখানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা পৌঁছানোর আগেই অবরোধকারীরা চলে গেছে।’

টাকার বিনিময়ে কিছু অটোরিকশা চলতে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে মাহবুব মোর্শেদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। মাঝেমধ্যে পুলিশের অনুপস্থিতিতে কেউ হয়তো অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে চলে আসতে পারেন। তাঁদের দেখামাত্রই তাঁরা জরিমানা করেন। এ ছাড়া কখনোই কোনো চালককে অহেতুক হয়রানি করা হয় না বলে তিনি দাবি করেন।