কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৭ জনের মধ্যে একজনকে নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়
কুমিল্লায় আজ শনিবার দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনস ও রেসকোর্স এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা হলেন আরফান মজুমদার (১৬), সৌরভ (২৫), মারুফ (১৬), আসিফ (১১), মৃদুল (১২), সুজন (১৩) ও সানি (১৮)। তাঁদের মধ্যে সৌরভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর অন্যদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, সৌরভের চোখের আঘাত গুরুতর। তাঁকে ঢাকায় চক্ষু ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় একাধিক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন, এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ তথ্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লায় কোনো শিক্ষার্থী মারা যাননি। সংঘর্ষের সময় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায় অস্বীকার করে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিহত করতে মাঠে ছিলেন। তাঁরা কোনো শিক্ষার্থীকে আঘাত করেননি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কদের একজন জান্নাতুল ইভা বলেন, হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। সরকারদলীয় লোকজনের এমন হামলার ঘটনায় নিন্দা জানান তিনি।